আলু আর পেঁয়াজের দামে বড় অস্বস্তি

ফাইল ছবি

 

আলু আর পেঁয়াজ, বেশি প্রয়োজনীয় এই দুই পণ্যের দাম কমার কোনো লক্ষণই চোখে পড়ছে না। এরমধ্যে সবজি, ডিম, মুরগির দাম কমার যে স্বস্তি, ক্রেতাদের কাছ থেকে তা উবে যাচ্ছে এই দুই পণ্য কিনতে।

 

বাজারে এখন প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৭৫ টাকা কেজি দরে, যা গত মাসে ৫৫-৬০ টাকা ছিল। ১১০-১২০ টাকার দেশি পেঁয়াজের দাম উঠেছে ১৪০-১৫০ টাকায়। তবে ভারত থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ কেনা যাচ্ছে ১২০ টাকার মধ্যে।

 

শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তারা আলু, পেঁয়াজের এই অস্বাভাবিক দামকে খুব অস্বস্তিদায়ক বলে মনে করছেন।

 

জামাল উদ্দিন নামে একজন বলেন, ‘আলুর দাম ৭০ টাকা, এটা কোনোভাবে মেনে নেওয়া যায় না। একই অবস্থা পেঁয়াজের ক্ষেত্রেও। কিন্তু দুটি পণ্য এতটাই প্রয়োজনীয় যে বাজারে এলে কিনতেই হয়। বিকল্প কিছু নেই।

 

তিনি বলেন, ‘মাসে পরিবারের যদি পাঁচ কেজি আলু আর পাঁচ কেজি পেঁয়াজ লাগে- এ জন্যই ব্যয় করতে হবে এক হাজার টাকা। এটা কি স্বাভাবিক কথা!’

 

এই দুই পণ্যের দামের বিষয়ে কারওয়ান বাজারের পাইকারি ব্যবসায়ীরা বলছেন, আলু-পেঁয়াজের মৌসুম এখন শেষের দিকে। প্রতি বছর এ সময়ে দাম বাড়ে। তবে এ বছর শুরু থেকে দাম চড়া। এরপর এখন বেড়ে আরও বাজার অস্থিতিশীল হয়েছে।

 

তাছাড়া সপ্তাহের ব্যবধানে বাজারে বোতলজাত সয়াবিনের দাম না বাড়লেও খোলা তেলের দাম বেড়েছে। বাজারে প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেল ১৭০ থেকে ১৭১ টাকায় উঠেছে। যেখানে বোতলজাত সয়াবিন তেল ১৬৭ থেকে ১৭২ টাকা।

 

এছাড়া প্রতি লিটার খোলা পাম তেল ১৬২ থেকে ১৬৩ টাকা ও সুপার পাম তেল ১৬৪ থেকে ১৬৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

 

এদিকে, বাজারে ব্রয়লার ও সোনালি মুরগির দাম কম গত সপ্তাহ থেকে। এখন প্রতিকেজি ব্রয়লার মুরগি ১৭৫-১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা ১৯৫ থেকে ২০০ টাকা উঠেছিল। সোনালি মুরগির দাম ৩১০-৩২০ টাকা প্রতিকেজি। এছাড়া বাজারে প্রতি ডজন ফার্মের মুরগির ডিমের দাম ১৫০ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে।

 

অন্যদিকে, বাজারে সবজির দাম অনেকটা কমেছে গত মাসের তুলনায়। এরমধ্যে ঢ্যাঁড়স, পটোল, ঝিঙা, চিচিঙা ৫০-৬০ টাকায় নেমে এসেছে। এছাড়া বেগুন, বরবটি, করলা ও কাঁকরোল ৮০-১০০ টাকায় ও পেঁপে ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কিছুদিন আগেও এসব সবজির দাম ১০০ টাকার ওপরে ছিল।

 

অপরদিকে, ফুলকপি ৫০ টাকা থেকে কমে ৩০ টাকা এবং লাউ ৮০-১০০ টাকা থেকে ৫০-৬০ টাকায় নেমেছে। কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ২০০ টাকা কেজি দরে।

সবজি বিক্রেতা আবু হানিফ বলেন, শীতের সবজির সরবরাহ বাড়ছে। আগামীতে দাম আরও কমে আসবে।

সূএ:জাগোনিউজ২৪.কম

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» ব্যবসায়ীকে মারতে মারতে তিনি বললেন ‘আমি ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি, জানস?’

» অধিকাংশ রাজনৈতিক দল বলছে, নির্বাচন পিআর পদ্ধতিতে হবে: নুর

» ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যার ঘটনায় আরও দুই আসামি গ্রেপ্তার

» চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের ধরতে এখন থেকেই চিরুনি অভিযান : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

» অগণতান্ত্রিক অপশক্তির প্রধান টার্গেট তারেক রহমান

» প্যারিসের প্রেমের সেতুতে তালা দিলেন মেহজাবীন

» ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে জবির ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগে তালা

» শাপলা ছাড়া আমাদের কোনো অপশন নাই : নাসির উদ্দিন পাটোয়ারী

» ‘শাপলা’ নিয়ে অনড় এনসিপি, প্রতীক তালিকা থেকে ‘নৌকা’ বাদ দেওয়ার দাবি

» তারেক রহমানের সম্পর্কে কুরুচিপূর্ণ স্লোগানের উচিত শিক্ষা দেওয়ার জন্য আপনারা রাজপথে নামুন: ফজলুর রহমান

  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

আলু আর পেঁয়াজের দামে বড় অস্বস্তি

ফাইল ছবি

 

আলু আর পেঁয়াজ, বেশি প্রয়োজনীয় এই দুই পণ্যের দাম কমার কোনো লক্ষণই চোখে পড়ছে না। এরমধ্যে সবজি, ডিম, মুরগির দাম কমার যে স্বস্তি, ক্রেতাদের কাছ থেকে তা উবে যাচ্ছে এই দুই পণ্য কিনতে।

 

বাজারে এখন প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৭৫ টাকা কেজি দরে, যা গত মাসে ৫৫-৬০ টাকা ছিল। ১১০-১২০ টাকার দেশি পেঁয়াজের দাম উঠেছে ১৪০-১৫০ টাকায়। তবে ভারত থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ কেনা যাচ্ছে ১২০ টাকার মধ্যে।

 

শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তারা আলু, পেঁয়াজের এই অস্বাভাবিক দামকে খুব অস্বস্তিদায়ক বলে মনে করছেন।

 

জামাল উদ্দিন নামে একজন বলেন, ‘আলুর দাম ৭০ টাকা, এটা কোনোভাবে মেনে নেওয়া যায় না। একই অবস্থা পেঁয়াজের ক্ষেত্রেও। কিন্তু দুটি পণ্য এতটাই প্রয়োজনীয় যে বাজারে এলে কিনতেই হয়। বিকল্প কিছু নেই।

 

তিনি বলেন, ‘মাসে পরিবারের যদি পাঁচ কেজি আলু আর পাঁচ কেজি পেঁয়াজ লাগে- এ জন্যই ব্যয় করতে হবে এক হাজার টাকা। এটা কি স্বাভাবিক কথা!’

 

এই দুই পণ্যের দামের বিষয়ে কারওয়ান বাজারের পাইকারি ব্যবসায়ীরা বলছেন, আলু-পেঁয়াজের মৌসুম এখন শেষের দিকে। প্রতি বছর এ সময়ে দাম বাড়ে। তবে এ বছর শুরু থেকে দাম চড়া। এরপর এখন বেড়ে আরও বাজার অস্থিতিশীল হয়েছে।

 

তাছাড়া সপ্তাহের ব্যবধানে বাজারে বোতলজাত সয়াবিনের দাম না বাড়লেও খোলা তেলের দাম বেড়েছে। বাজারে প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেল ১৭০ থেকে ১৭১ টাকায় উঠেছে। যেখানে বোতলজাত সয়াবিন তেল ১৬৭ থেকে ১৭২ টাকা।

 

এছাড়া প্রতি লিটার খোলা পাম তেল ১৬২ থেকে ১৬৩ টাকা ও সুপার পাম তেল ১৬৪ থেকে ১৬৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

 

এদিকে, বাজারে ব্রয়লার ও সোনালি মুরগির দাম কম গত সপ্তাহ থেকে। এখন প্রতিকেজি ব্রয়লার মুরগি ১৭৫-১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা ১৯৫ থেকে ২০০ টাকা উঠেছিল। সোনালি মুরগির দাম ৩১০-৩২০ টাকা প্রতিকেজি। এছাড়া বাজারে প্রতি ডজন ফার্মের মুরগির ডিমের দাম ১৫০ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে।

 

অন্যদিকে, বাজারে সবজির দাম অনেকটা কমেছে গত মাসের তুলনায়। এরমধ্যে ঢ্যাঁড়স, পটোল, ঝিঙা, চিচিঙা ৫০-৬০ টাকায় নেমে এসেছে। এছাড়া বেগুন, বরবটি, করলা ও কাঁকরোল ৮০-১০০ টাকায় ও পেঁপে ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কিছুদিন আগেও এসব সবজির দাম ১০০ টাকার ওপরে ছিল।

 

অপরদিকে, ফুলকপি ৫০ টাকা থেকে কমে ৩০ টাকা এবং লাউ ৮০-১০০ টাকা থেকে ৫০-৬০ টাকায় নেমেছে। কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ২০০ টাকা কেজি দরে।

সবজি বিক্রেতা আবু হানিফ বলেন, শীতের সবজির সরবরাহ বাড়ছে। আগামীতে দাম আরও কমে আসবে।

সূএ:জাগোনিউজ২৪.কম

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Design & Developed BY ThemesBazar.Com